অচেনা কেউ মেসেজ করলেই, তাকে রিপ্লাই দেন। আর এই সব কিছুর মধ্যেই যে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনছেন, তা জানেন কি? ইনস্টাগ্রামে স্ক্যামাররা মেসেজ পাঠিয়ে ফোন হ্যাক করে নিচ্ছে। আর তারপরেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কীভাবে হচ্ছে এই স্ক্যাম? চলুন দেখে নেওয়া যাক।

স্ক্যামাররা ইনস্টাগ্রামে মেসেজ পাঠিয়ে লোকেদের টার্গেট করছে। আসলে বিভিন্ন চাকরি দেওয়ার সুযোগ প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেসেজ পাঠাচ্ছে। আর তারপরেই মানুষকে তার ফাঁদে ফেলছে। অনেকেই এসব মেসেজের রিপ্লাই দেন।

সাধারণত এমন মেসেজগুলোতে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয়। লিঙ্কটিতে ক্লিক করতেই ঘটে বিরাট এক বিপদ। লিঙ্কে ক্লিক করতেই একটি নতুন পেজ খুলে যায়। সেখানে আপনার সব তথ্য লিখতে বলা হবে। এমনকি সেখানে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণও লিখতে বলা হতে পারে। তারপরেই ফোনে চলে আসে একটি ওটিপি। আসলে এটি স্ক্যামারদের একটি কৌশল। এর সাহায্যে তারা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টকে টার্গেট করে সব টাকা লুটে নিচ্ছে।

আপনি কিছু বোঝার আগেই স্ক্যামাররা আপনার ফোনটিকে হ্যাক করে নেবে। তারপর ফোনের সব তথ্য চুরি করে নেবে। এই ধরনের কোনো মেসেজের রিপ্লাই করবেন না। এমনকি অচেনা কোনো ব্যক্তির দেওয়া কোনো লিংকেও ক্লিক করবেন না। অচেনা কেউ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চাইলে তখনই তাকে ব্লক করে দিন।

এই ধরনের কেলেঙ্কারী থেকে কীভাবে বাঁচবেন?

চাকরি দেওয়ার নামে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ নেওয়া হয়। যখন আপনি জিজ্ঞাসা করেন যে কেন আপনার কাছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ চাওয়া হচ্ছে, স্ক্যামাররা বলে যে তারা একটি চাকরি দিতে চায় এবং সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ বেতনের জন্য চাওয়া হচ্ছে। আপনি কিছু বোঝার আগেই স্ক্যামাররা আপনার ফোনটিকে হ্যাক করে নেবে। তারপর ফোনের সমস্ত তথ্য চুরি করে নেবে। এই ধরনের কোনও মেসেজের রিপ্লাই করবেন না। এমনকী অচেনা কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন না। বললেও যদি সে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চায়, তাহলে তখনই তাকে ব্লক করে দিন। নাহলে আপনার ফোন হ্যাক করতে, তার বেশি সময় লাগবে না। তারপরে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন।